

ফাতিহা ফালাক ডেস্ক

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ হলো শরিয়াহসম্মত ঝাড়ফুঁক, যা কোরআনের নির্দিষ্ট আয়াত এবং হাদিসে বর্ণিত দোয়ার মাধ্যমে জ্বিন, জাদু, বদনজর এবং শারীরিক-মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি আল্লাহর কালামের শক্তির মাধ্যমে মানুষকে আধ্যাত্মিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ করার একটি ইসলামি পদ্ধতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে রুকইয়াহ করেছেন এবং সাহাবিদের শিখিয়েছেন। বর্তমান সময়ে জ্বিন, জাদু, বদনজর এবং মানসিক সমস্যার প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় রুকইয়াহর প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে। এই নিবন্ধে রুকইয়াহর পরিচয়, প্রকার, প্রয়োজনীয়তা, বর্তমান প্রেক্ষাপট, বৈধ-অবৈধ তাবিজ, জিন, বদনজর, ওয়াসওয়াসা, মানসিক ব্যাধি এবং সম্পর্কিত বিষয়গুলো সহজ ভাষায় আলোচনা করা হলো।
রুকইয়াহর পরিচয়
রুকইয়াহ শব্দটি আরবি ‘রুকিয়া’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ঝাড়ফুঁক বা দোয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা। এটি কোরআনের আয়াত, হাদিসে বর্ণিত দোয়া এবং আল্লাহর নামের মাধ্যমে রোগ নিরাময়ের একটি পদ্ধতি। কোরআনে বলা হয়েছে, “আমরা কোরআনে এমন কিছু নাযিল করি, যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত।” (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত ৮২)। রাসুল (সা.) বলেছেন, “রুকইয়াহ করায় কোনো সমস্যা নেই, যদি তাতে শিরক না থাকে।” (মুসলিম, হাদিস : ২২০০)। শরিয়াহসম্মত রুকইয়াহতে কেবল কোরআন, হাদিস এবং আল্লাহর নাম ব্যবহৃত হয়।
রুকইয়াহর প্রকার
রুকইয়াহ প্রধানত দুই প্রকার:
রুকইয়াহর প্রয়োজনীয়তা
রুকইয়াহর প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সময়ে অপরিসীম। নিম্নলিখিত কারণে রুকইয়াহ গুরুত্বপূর্ণ:
বর্তমান প্রেক্ষাপটে রুকইয়াহ
বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনযাত্রা জটিল হয়ে পড়েছে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, এবং আধ্যাত্মিক সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বিন, জাদু এবং বদনজরের প্রভাবও অনেকের জীবনে প্রভাব ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে রুকইয়াহ মানুষের জন্য একটি আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক সমাধান। আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি রুকইয়াহ শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, শরিয়াহসম্মত রুকইয়াহর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া এবং অশারই পদ্ধতি থেকে দূরে থাকা জরুরি।
বৈধ ও অবৈধ তাবিজ
প্রচলিত কুসংস্কার
বর্তমানে কিছু কুসংস্কার রুকইয়াহর নামে প্রচলিত আছে:
জিন সম্পর্কিত মৌলিক কথা
জিন হলো আল্লাহর সৃষ্ট প্রাণী, যারা অদৃশ্য এবং আগুন থেকে সৃষ্ট। (সুরা আর-রহমান, আয়াত ১৫)। কোরআনে জিনের কথা উল্লেখ আছে এবং তাদের মধ্যে ভালো ও মন্দ উভয়ই রয়েছে। মন্দ জিন মানুষের ক্ষতি করতে পারে, যেমন জাদু, বদনজর বা ওয়াসওয়াসার মাধ্যমে। রুকইয়াহ এই মন্দ জিনের প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য কার্যকর।
জিনের আসর ও মাসসুস শয়তান
জিনের আসর বা মাসসুস শয়তান বলতে এমন অবস্থাকে বোঝায়, যখন কোনো জিন মানুষের শরীরে প্রভাব বিস্তার করে। এটি হতে পারে জাদু, বদনজর বা শয়তানের প্ররোচনার মাধ্যমে।
বদনজর: বাস্তবতা, লক্ষণ ও চিকিৎসা
বদনজর একটি বাস্তব সমস্যা, যা কোরআনে উল্লেখিত। (সুরা কালাম, আয়াত ৫১-৫২)। এটি হিংসা বা প্রশংসার মাধ্যমে ক্ষতি করে।
ওয়াসওয়াসা: বাস্তবতা, লক্ষণ ও করণীয়
ওয়াসওয়াসা হলো শয়তানের ফিসফিসানি, যা মানুষকে সন্দেহ, ভয় ও অস্থিরতায় ফেলে।
বাতাস লাগা, বোবায় ধরা, দুঃস্বপ্ন
মানসিক ব্যাধি
মানসিক ব্যাধি জ্বিন, জাদু বা শয়তানের প্রভাবে হতে পারে।
রুকইয়ার আগে যা জানতে হবে
মাসসুস শয়তান, সিহর, বদনজর ও ওয়াসওয়াসার চিকিৎসা
৭ দিনের ডিটক্স রুকইয়াহ
৭ দিনের ডিটক্স রুকইয়াহ হলো নিয়মিত কোরআন পড়া, দোয়া এবং গোসলের মাধ্যমে শরীর ও মনকে শুদ্ধ করা।
বাচ্চাদের রুকইয়াহ
বাচ্চাদের জন্য রুকইয়াহ সহজ এবং শরিয়াহসম্মত হতে হবে:
রুকইয়ার প্রসিদ্ধ আয়াত ও দোয়া
উপসংহার
রুকইয়াহ শারইয়্যাহ হলো কোরআন ও হাদিসের আলোকে আধ্যাত্মিক ও শারীরিক চিকিৎসার একটি শক্তিশালী পদ্ধতি। এটি জ্বিন, জাদু, বদনজর, ওয়াসওয়াসা এবং মানসিক ব্যাধি থেকে মুক্তি দেয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষের আধ্যাত্মিক ও মানসিক সমস্যা বৃদ্ধির কারণে রুকইয়াহর গুরুত্ব অপরিসীম। তবে, শরিয়াহসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ করা এবং শিরক থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত জরুরি। খাঁটি নিয়ত ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে রুকইয়াহ করলে আল্লাহর রহমতে শিফা ও নিরাপত্তা লাভ করা সম্ভব।

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ হলো শরিয়াহসম্মত ঝাড়ফুঁক, যা কোরআনের নির্দিষ্ট আয়াত এবং হাদিসে বর্ণিত দোয়ার মাধ্যমে জ্বিন, জাদু, বদনজর এবং শারীরিক-মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি আল্লাহর কালামের শক্তির মাধ্যমে মানুষকে আধ্যাত্মিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ করার একটি ইসলামি পদ্ধতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে রুকইয়াহ করেছেন এবং সাহাবিদের শিখিয়েছেন। বর্তমান সময়ে জ্বিন, জাদু, বদনজর এবং মানসিক সমস্যার প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় রুকইয়াহর প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে। এই নিবন্ধে রুকইয়াহর পরিচয়, প্রকার, প্রয়োজনীয়তা, বর্তমান প্রেক্ষাপট, বৈধ-অবৈধ তাবিজ, জিন, বদনজর, ওয়াসওয়াসা, মানসিক ব্যাধি এবং সম্পর্কিত বিষয়গুলো সহজ ভাষায় আলোচনা করা হলো।
রুকইয়াহর পরিচয়
রুকইয়াহ শব্দটি আরবি ‘রুকিয়া’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ঝাড়ফুঁক বা দোয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা। এটি কোরআনের আয়াত, হাদিসে বর্ণিত দোয়া এবং আল্লাহর নামের মাধ্যমে রোগ নিরাময়ের একটি পদ্ধতি। কোরআনে বলা হয়েছে, “আমরা কোরআনে এমন কিছু নাযিল করি, যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত।” (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত ৮২)। রাসুল (সা.) বলেছেন, “রুকইয়াহ করায় কোনো সমস্যা নেই, যদি তাতে শিরক না থাকে।” (মুসলিম, হাদিস : ২২০০)। শরিয়াহসম্মত রুকইয়াহতে কেবল কোরআন, হাদিস এবং আল্লাহর নাম ব্যবহৃত হয়।
রুকইয়াহর প্রকার
রুকইয়াহ প্রধানত দুই প্রকার:
রুকইয়াহর প্রয়োজনীয়তা
রুকইয়াহর প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সময়ে অপরিসীম। নিম্নলিখিত কারণে রুকইয়াহ গুরুত্বপূর্ণ:
বর্তমান প্রেক্ষাপটে রুকইয়াহ
বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনযাত্রা জটিল হয়ে পড়েছে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, এবং আধ্যাত্মিক সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বিন, জাদু এবং বদনজরের প্রভাবও অনেকের জীবনে প্রভাব ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে রুকইয়াহ মানুষের জন্য একটি আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক সমাধান। আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি রুকইয়াহ শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, শরিয়াহসম্মত রুকইয়াহর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া এবং অশারই পদ্ধতি থেকে দূরে থাকা জরুরি।
বৈধ ও অবৈধ তাবিজ
প্রচলিত কুসংস্কার
বর্তমানে কিছু কুসংস্কার রুকইয়াহর নামে প্রচলিত আছে:
জিন সম্পর্কিত মৌলিক কথা
জিন হলো আল্লাহর সৃষ্ট প্রাণী, যারা অদৃশ্য এবং আগুন থেকে সৃষ্ট। (সুরা আর-রহমান, আয়াত ১৫)। কোরআনে জিনের কথা উল্লেখ আছে এবং তাদের মধ্যে ভালো ও মন্দ উভয়ই রয়েছে। মন্দ জিন মানুষের ক্ষতি করতে পারে, যেমন জাদু, বদনজর বা ওয়াসওয়াসার মাধ্যমে। রুকইয়াহ এই মন্দ জিনের প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য কার্যকর।
জিনের আসর ও মাসসুস শয়তান
জিনের আসর বা মাসসুস শয়তান বলতে এমন অবস্থাকে বোঝায়, যখন কোনো জিন মানুষের শরীরে প্রভাব বিস্তার করে। এটি হতে পারে জাদু, বদনজর বা শয়তানের প্ররোচনার মাধ্যমে।
বদনজর: বাস্তবতা, লক্ষণ ও চিকিৎসা
বদনজর একটি বাস্তব সমস্যা, যা কোরআনে উল্লেখিত। (সুরা কালাম, আয়াত ৫১-৫২)। এটি হিংসা বা প্রশংসার মাধ্যমে ক্ষতি করে।
ওয়াসওয়াসা: বাস্তবতা, লক্ষণ ও করণীয়
ওয়াসওয়াসা হলো শয়তানের ফিসফিসানি, যা মানুষকে সন্দেহ, ভয় ও অস্থিরতায় ফেলে।
বাতাস লাগা, বোবায় ধরা, দুঃস্বপ্ন
মানসিক ব্যাধি
মানসিক ব্যাধি জ্বিন, জাদু বা শয়তানের প্রভাবে হতে পারে।
রুকইয়ার আগে যা জানতে হবে
মাসসুস শয়তান, সিহর, বদনজর ও ওয়াসওয়াসার চিকিৎসা
৭ দিনের ডিটক্স রুকইয়াহ
৭ দিনের ডিটক্স রুকইয়াহ হলো নিয়মিত কোরআন পড়া, দোয়া এবং গোসলের মাধ্যমে শরীর ও মনকে শুদ্ধ করা।
বাচ্চাদের রুকইয়াহ
বাচ্চাদের জন্য রুকইয়াহ সহজ এবং শরিয়াহসম্মত হতে হবে:
রুকইয়ার প্রসিদ্ধ আয়াত ও দোয়া
উপসংহার
রুকইয়াহ শারইয়্যাহ হলো কোরআন ও হাদিসের আলোকে আধ্যাত্মিক ও শারীরিক চিকিৎসার একটি শক্তিশালী পদ্ধতি। এটি জ্বিন, জাদু, বদনজর, ওয়াসওয়াসা এবং মানসিক ব্যাধি থেকে মুক্তি দেয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষের আধ্যাত্মিক ও মানসিক সমস্যা বৃদ্ধির কারণে রুকইয়াহর গুরুত্ব অপরিসীম। তবে, শরিয়াহসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ করা এবং শিরক থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত জরুরি। খাঁটি নিয়ত ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে রুকইয়াহ করলে আল্লাহর রহমতে শিফা ও নিরাপত্তা লাভ করা সম্ভব।